পাখির সাধারণ ডায়রিয়া রোগ

Post by

অনেক সময় বাজরিগর সহ অনেক পাখি ডায়রিয়ার রোগে আক্রান্ত হয়। এই রোগের মূল কারন হচ্ছে পাখির অন্তনালীর কিছু রোগ-জীবানু। আজকে আমরা কিভাবে এই সকল ধরণের রোগ-জীবাণু থেকে মুক্তি পাওয়া যায় তা নিয়ে কথা বলবো।  

পাখির ডায়রিয়ার কারনঃ

ডায়রিয়া রোগটি সাধারণত পানির মধ্যমে, খাবারের মাধ্যমে, পাখির হজম প্রক্রিয়া ব্যাহত হলে অথবা পরজীবি বা জীবানু ও ব্যাক্টেরিয়া দ্বারা আক্রান্ত হলে এই রোগটি ছরায়।

পাখির ডায়রিয়ার লক্ষনঃ

এ রোগেটির কারনে আক্রান্ত পাখি অন্য পাখিদের তুলনায় একটু চুপচাপ থাকে এবং কিছুটা পশম ফুলিয়ে বসে থাকে। তবে এই অবস্থায় আরো অবনতি হলে পাখি তার শরীর ফুলিয়ে প্রায় গোল হয়ে যায় এবং প্রচুর পরিমানে পানি খায়। এই অবস্থায় পাখির পায়খানার রং কিছুটা ধুসর খয়রি অথবা গাঁড় খয়রি, বাদামি এবং অবস্থার অবনতির সময় সবুজ বা হ্লুদ রং ধারন করে থাকে। আর এই সময় পাখির পায়খানা থেকে খারাপ গন্ধ বের হয়। পাখির মলদ্বারের চারপাশের পালক গুলো ভেজা থাকে এবং ঐ জায়গায় গরম ও লাল হয়ে থাকে। অতিরিক্ত ডায়রিয়া হলে পাখির কিডনিতে সমস্যা হতে পারে।

পাখির ডায়রিয়ার চিকিৎসাঃ

পাখি ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হলে তৎক্ষণাৎ তাকে অন্যান্য পাখিদের থেকে আলাদা করে দিয়ে সবুজ ও নরম খাদ্য দেয়া বন্ধ করে দিতে হবে। পাখির খাচার ভিতরে ৪০-৬০ ওয়ার্ট এর ১টি বাল্ব জালিয়ে দিতে হবে। পাখিকে লাল চা হালকা ঠান্ডা করে খাওয়াতে হবে।

পাখি যদি সবুজ রঙের পায় খানা করে তখন ৫০ এম.এল চা এর সাথে ২ এম.এল আপেল সিডার ভিনেগার মিশিয়ে দিতে হবে এবং সাথে সাথে শুকনো খাবার দিতে হবে যেমন- চিনা, কাওন, মিলেট ইত্যাদি। এভাবে চালিয়ে জেতে হবে যত দিন পাখির শরীর ভালো না হয়।

টিয়া পাখির পালন পদ্ধতি

এছাড়া কিছু এন্টিবায়টিক ঔষধ আছে যা পাখির ডায়রিয়া রোগের জন্য খুবই কার্যকরী যেমন- Terramycin, ESB 30%, Teracycline, Oxytetracycline 20% উপ্রোক্ত এন্টিবায়টিক গুলোর যে কোন একটি ঠান্ডা ফুটানো পানির সাথে নির্দিষ্ট পরিমানে (প্রতি ১ লিটারে ১ গ্রাম) মিশিয়ে তার সাথে কিছু পরিমান স্যালাইন বা গ্লুকোজ মিশিয়ে ব্যবহার পাখি তারাতারি সুস্থ হয়ে পরবে এবং পানি শূন্যতার রোগ কাটিয়ে উঠতে পারবে। আপনি চাইলে আমাদের ব্লগ পোস্ট গুলো পড়ার পাশাপাশি আমাদের ইউটিউব চ্যানেলটি ঘুরে আসতে পারেন যাচ্ছেতাই

Leave a comment